ভালোবাসা ও জলপ্রপাতের শব্দ
-সুনির্মল বসু
শর্তহীন ভালোবাসার কথা যদি বলো,সেসব এখন কোথায় পাবে,উতরোল বাতাসে কত ভালোবাসার কথা ওড়ে, দেবদারু গাছে ঝিরঝিরে বাতাস সবসময় বয়ে যায় না,
দিন বয়ে যায়,
স্বার্থপরতার প্রবল
ঘূর্ণিঝড়ে ভালোবাসা বিষূবরেখার দিকে হেঁটে যায়,
দিনান্তে পাহাড়ের পায়ের কাছে সূর্যের ছায়া কদিন আর চোখে পড়ে,
তবু এই মরুভূমির দেশে কোনো কোনো যাদুকর
ভালোবাসার ইন্দ্রজাল দেখায়,
ভালোবেসে কেউ কেউ পাহাড়ের গায়ে পাখির ছবি এঁকে যায়,
শহরের বাবুরা সেই ছবি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে,
ভালোবাসা কাঙ্খিত সকলের কাছে,
ভালোবাসার জন্য ত্যাগ স্বীকার কতটা জরুরী,
সেটা নিয়ে ভাবার সময় অল্প,
অথচ, জীবন ভর ভালোবাসা নিয়ে কত কবিতা লেখা হলো,কত কেতাব লেখা হলো,
বনজ বাতাস, আকাশের চাঁদ, সমুদ্রের ঢেউ, পাহাড়িয়া ঝর্ণা কত কথা বলে গেল,
সেসব মনে রাখলো ক’জন,
মাঝরাত্তিরে ভালোবাসার কাঙাল শূন্য দু হাত তুলে
বুকফাটা হাহাকারে ভালোবাসার জন্য আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তুললো,
ভালোবাসা ছিল, ভালোবাসা আছে, ভালোবাসা থাকবে,
শুধু গ্রামে ও শহরে তাকে খুঁজে নেবার মত মানুষজন পাওয়া গেল না,
একমাত্র চাঁদ সূর্য, নদী সমুদ্র, আকাশের তারা, জননী, জন্মভূমি নিরঙ্কুশ এই ভালবাসার কথা বলে গেল,
সেই শব্দ, সেই বর্ণমালা, সেই মুগ্ধ ধ্বনি জলপ্রপাতের শব্দের মতন নিরন্তর বেজে চললো।